ফরিদপুর,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: জন্মের পর বহু নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে ৪ দিন টিকে থাকার পর অবশেষে সবার বিবেককে নাড়া না ফেরার দেশে চলে গেল হতভাগ্য সেই শিশু গালিবা হায়াত।
সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের কেন্দ্রীয় ঈদগায় নামাজে জানাজা শেষে সন্ধ্যায় আলীপুর কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয় তার।
রোববার রাত সাড়ে ১১টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় গালিবার। চিকিৎসক তার বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিলে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয় শিশুটির।
সোমবার বিকেলে গালিবার মরদেহ নিয়ে তার বাবা ক্রিকেটার নাজমুল হুদা মিঠু পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে একটি মাইক্রোবাসযোগে ফরিদপুর শহরের কমলাপুরের বাড়িতে পৌছায়।
ফরিদপুরের চাঁদমারীতে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় গালিবার নামাজে জানাজা। শত শত মানুষের অংশগ্রহণে নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আদেলউদ্দিন। জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় শহরের আলীপুর কবরস্থানে। ৪ দিন আগে যে কবরস্থান থেকে বেঁচে ওঠা ছোট্ট গালিবাকে হাসপাতালে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল সেই কবরস্থানেই তাকে দাফন করা হয়।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসক গত ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই গালিবাকে মৃত ঘোষণা করে। পরিবারের সদস্যরা মৃত হিসেবে শিশুটিকে একটি বাক্সে ভরে আলীপুর কবরস্থানে নিয়ে যায়। মৃত ঘোষণার ৬ ঘণ্টা পর দাফনের প্রস্তুতির সময় হঠাৎ নড়েচড়ে ও শব্দ করে ওঠে শিশুটি। দ্রুত তাকে নেয়া হয় ওই একই হাসপাতালে। ইনকিউবেটরে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাকে। এর ৩ দিন পর গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে শিশুটিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়।