নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: প্রথমে ঢাকার উত্তরা-রমনা থেকে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৩রা অক্টোবর স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। ওইদিন ঢাকার পাশাপাশি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতেও স্মার্ট বিতরন করা হবে। ফুলবাড়ির বিলুপ্ত দাশিয়ারছড়া ছিটমহলে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অুনবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন জানিয়েছেন, প্রথমে ঢাকাসহ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলায় স্মার্ট কার্ড দেব। এক্ষেত্রে ঢাকার দুই সিটির প্রতিটিতে একটা একটা থানা থেকে বিতরণ কার্যক্রম চলবে।
সোমবার ইসি কার্যালয়ে সালেহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এরপর ৩ অক্টোবর থেকে আমরা কুড়িগ্রাম ও ঢাকায় বিতরণে যাবো। ইতিমধ্যে আমরা ঢাকার দুইটি থানার জন্য ৫৫ জন অপারেটর নিয়োগ দিয়েছি। একটা উত্তরায় ৩০ জন এবং রমনার জন্য ২৫ জন অপারেটর কাজ করবে। এটা মোটামুটি পাইলটিং এর মতো। এক্ষেত্রে একটিতে সাতদিন অন্যটিতে পাঁচদিন ধরে কাজ চলবে। এই দুই থানায় কাজ শেষ হলেই অন্য থানায় কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য গণমাধ্যমে সিডিউল বিস্তারিতভাবে প্রচারণা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলায় মোট ৭৫ হাজার ভোটারকে র্স্মাট র্কাড দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে এখানকার তিনটি ইউনিয়নের বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীও র্স্মাট র্কাড পাবে। আর ঢাকার প্রায় ৫০ লাখ ভোটারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে দেশের সকল ভোটারদেরও উন্নতমানের কার্ড দেয়া হবে।
তিনি বলেন, র্স্মাট কার্ড দেয়ার প্রক্রিয়ায় দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেব। এক্ষেত্রে পুরান আইডি র্কাডটি জমা দিয়ে র্স্মাট র্কাড নিতে হবে। আর পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ তিন মিনিট। শুক্র-শনিবার হয়তো নাগরিকদের সাড়া বেশি পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হবে। চলবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে সেখানে কাউন্টার বসিয়ে কাজ করবে অপারেটররা। লোক বেশি হলে ক্যাম্পের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনআইডির মহাপরিচালক বলেন, স্মার্ট কার্ড জাল করা দুঃসাধ্য করা হয়েছে। র্স্মাট র্কাড তৈরি মেশিন এতো দামি যে কেউ জাল করতে চাইবে না।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে নির্বাচন ছাড়া অন্য যে কোনো সময় কেউ সংশোধনের আবেদন করলে তা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় র্পযায়ে কেউ সংশোধন বা স্থানান্তরের আবেদন না নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। না নেয়ার কোনো এখতিয়ার উপজেলা কর্মকর্তার নেই। এর ব্যত্যয় হলে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১০৫ নম্বরে কেউ যদি জানতে চায়, তার র্স্মাট আইডি কবে কোথায় দেয়া হবে, ফিরতি মেসেজে তাকে জানিয়ে দেয়া হবে কবে কোথায় র্কাড পাওয়া যাবে।