খন্দকার শাহিন: তরুণ নির্মাতা মোঃ রাসেল মিয়ার কাহিনী ও মূল পরিকল্পনায় নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সংশোধন’ এর ১ থেকে ১৫ পর্বের প্রদর্শনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঢাকা টোয়েন্টিফোর ও সার্চ নিউজ আয়োজিত অনুষ্ঠানটি আগামীকাল বিকাল ৪টায় রাজধানীর আখতার ইমাম প্রিয় প্রাঙ্গন (শিল্পকলা একাডেমির বিপরীতে) অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা সবাই আমন্ত্রিত…
সমাজ সচেতনতামূলক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (সংশোধন) বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচার হয়েছে। পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসিতও হয়েছে, এ চলচ্চিত্রের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে স্বপ্নছোঁয়া ভৈরব মিডিয়া ও মিডিয়া পাটনার হিসেবে রয়েছে ঢাকা টোয়েন্টিফোরসহ দেশের কয়েকটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান। সংশোধনে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোঃ রাসেল মিয়া এবং সুলতানা চৌধুরী। এছাড়া আরও তরুণ কয়েকজন শিল্পী অভিনয় করেছেন।
পরিচালক জানান, সমাজে নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, শিশু শ্রম নিরুৎসাহিত করণ, পথশিশুদের জীবন, ব্যাচেলর জীবনের বিড়ম্বনা, পরকীয়া, বাল্যবিবাহ ইত্যাদি বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ ও অসঙ্গতির বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘সংশোধন’। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি সমাজ সচেতনতায় কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদী।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেতা মোঃ রাসেল মিয়া বলেন, আমাদের প্রত্যেকের ভেতরে সুন্দর একটি মন ঘুমিয়ে আছে, তাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। আমাদের সমাজে হর হামেশাই অন্যায়, অবিচার, নীতি নৈতিকতাহীন, বিবেকবর্জিত কাজ হচ্ছে। তবে আমরা প্রায় সময়ই এগুলো এড়িয়ে চলি। সৎ সাহস নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করি না। এ অন্যায়গুলো এক সময় দুরারোগ্য সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়। সঠিকভাবে প্রতিরোধ না করলে এক সময় এগুলো মহামারী আকার ধারণ করবে। তাই আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ ও সমাজের স্বার্থে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তবেই জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। নাটকটির মাধ্যমে আমরা এসব বিষয়কে তুলে ধরা চেষ্টা করেছি। সাড়া পাচ্ছি বেশ ভাল।