ক্রীড়া প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরে মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে ভর করে আফগানিস্তানকে ২০৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। ১৩৮ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে অভিষিক্ত মোসাদ্দেকের ৪৫ রানে ভর করেই আফগানিস্তানকে ২০০ পেরুনো রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে টাইগাররা। ৪৯ ওভার ২ বল খেলে সব উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান করে বাংলাদেশ।
বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জেতার পর বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আফগান অধিনায়ক আসগর স্ট্যানিকজাই। পাওয়ার প্লের প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও মিরওয়াইস আশরাফের করা ১১তম ওভারের চতুর্থ বলেই আউট হন তামিম।
দলীয় ৪৩ রানে আউট হওয়ার সময় তামিম ৩৬ বলে ২০ রান করেছিলেন। আশরাফের করা ১৩তম ওভারেই শিকারে ২০ রান করে ফিরে গেছেন সৌম্য। মাত্র ৫০ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পরে মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহর অর্ধশত রানের জুটিতে ব্যাটে ঘুরে দাড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ। দুই জনের অর্ধশত রানের জুটিতে ১০০ ছাড়ায় দলীয় রান।
নাভিনের করা ২৬তম ওভারের শেষ বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান মাহমুদুল্লাহ। ৫১ বলে ৩৮ রান করে স্লগ হিট করতে গিয়ে আউট হন মুশফিক। ২৮তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১২২ রানে চতুর্থ উইকেট হিসেবে ফিরেন মুশফিক। এরপরই শুরু হয় ছন্দপতন।
বেশ কয়েকবার জীবন পেয়েও সেটা কাজে লাগাতে না পেরে ম্যাচের ৩২তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ নবীর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সাকিব। এরপর রশিদ খানের করা ৩৩তম ওভারের প্রথম বলে ফেরেন সাব্বির রহমান। দলীয় রান তখন ৬ উইকেটে ১৩৮। মোহাম্মদ নবীর করা এর পরের ওভারেই দলীয় ১৪১ রানে ফেরেন অধিনায়ক মাশরাফি। ৩৩তম ওভারের শেষ বল থেকে ৩৫তম ওভারের শেষ বল পর্যন্ত ১৩ বলের ব্যবধানে তিন উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের। এই সময়ে রান এসেছে মাত্র তিন রান!
এরপরে নবম উইকেটে অভিষিক্ত মোসাদ্দেক ও তাইজুল ইসলামের মধ্যে ২৪ রানের জুটি হয়। ১০ রান করে দলীয় ১৬৫ রানে রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান তাইজুল। পরের বলেই আবারো এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন তাসকিন আহমেদ। তাসকিন আউট হওয়ার পরেও ইনিংসের ৪৪ বল বাকি, হাতে আছে একটি উইকেট।
একপ্রান্ত আগলে থাকা মোসাদ্দেক সেখানে রুবেল হোসেনকে নিয়ে খেলতে থাকেন। দারুণ দুটি ছক্কা ও দুটি চারের মারে ৪৫ রান করেন ৪৫ বলে যা এই ইনিংসে দলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে রুবেল হোসেন রান আউট না হলে নিঃসন্দেহে অভিষেকে অর্ধশত রানটা তুলে নিতে পারতেন।
আফগানিস্তানের রশিদ খান তিন উইকেট নিয়েছেন, এছাড়া মিরওয়াইস আশরাফ মোহাম্মদ নবী দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। আফগানিস্তানের বোলাররা সর্বমোট ছয়টি ওভার মেডেন নিতে সক্ষম হয়েছেন।