শ্রী অরবিন্দ ধর ,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: ৪৫ বছর পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিনটি উদযাপনে আনন্দ উল্লাসের মাঝে ও মনে পড়ছে জাতির স্তপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ প্রেম আত্ম ত্যাগ ও বিজয় অর্জনে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ধাবাহিকতার ইতিহাস। বৃহত্তর ময়মনসিংহে রাজনীতিতে ছাত্র লীগের দায়িত্ব পালন কালে সহচর্য প্রাপ্ত জাতীয় ৪ নেতার মধ্যে সৈয়দ নজরুল ইসলামের স্বচ্ছ নৈতিক আদর্শিক ব্যক্তি স্বার্থ ভাবনা মুক্ত রাজনীতি পরিচালনার কথা। এ দিনটিতে স্মরণ হচ্ছে শিশু রাসেল সহ বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হবার করুণ বেদনার ঘটনা। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্গনীয় কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন আহম্মেদ, মুনসুর আলী, কামরুজ্জামানকে নৃশংস ভাবে হত্যার বেদনা। এদিনে স্মরণ না করলে কার্পনতা হবে অসংখ্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও ৩০ লক্ষ বাঙালির রক্তে স্বাধীনতা বিরোধী নর পিশাচদের হোলি খেলার চির জাগ্রত বেদনার করুণ ইতিকথা। মা- বোনদের ইজÍত সম্ভ্রম লুন্ঠনের মর্ম ব্যাথা। অগণিত বুদ্দিজীবী হত্যার ঘটনা প্রবাহ। ২৫ শে মার্চ কালো রাতে অতর্কিত হামলায় পাক শত্রুদের অজ¯্র গুলির হাত থেকে ইশ্বরের করুণায় আজো বেঁচে থাকার ময়মনসিংহ ইপিআর ক্যাম্পের লোম হর্ষক ঘটনা। মনে পড়ছে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কঠোর হাতে নৃশংস তার নাগ পাশ কাটিয়ে স্বদেশ উন্নয়নে, সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার কারিগর, তথ্য প্রযুক্তির রুপকার সুযোগ্য প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থাকায় বেঁচে থেকে ও ২১ শে আগষ্ট স্বাধীনতা বিরুধী চক্রের সুধুর প্রসারী বর্বরচিত গ্রেনেড হামলার হাত থেকে স্রষ্টার অপার করুণায় প্রাণে বেঁচে যাবার স্মরণীয় ঘটনা। বাঙালি সংস্কৃতি রক্ষণশীল বাঙালি নারীত্বের শোভাবর্ধনকারী মাতৃত্বের অধিকারী শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও অনেক সহযোদ্ধা নিহত হয় এবং এ ঘটনায় দেশ প্রেমে নিবেদিত প্রাণ আইভি রহমান পঙ্গুত্ব বরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার সোনার মানুষদের পেট্রোল বোমা মেরে অগ্নিদহনে ছারখার করে দেওয়ার পরিকল্পনার পরও থেমে নেই। এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে কখন কোন নীল নক্সায় আবার আঘাত হানবে—- এ ভাবনায় ৪৫ বছরে ২০১৬ বিজয় দিনে দিনটি উদযাপনে আনন্দ উল্লাসের মাঝে ও ভয়াবহতার আসংখ্যায় নির্মম বর্বরতা ও নৃশংসতার রেখা পাত করছি। কেন না দেশ আজ দু’ ভাগে বিভক্ত স্বাধীনতা পক্ষ শক্তি ও বিপক্ষ শক্তিতে। ৭১’ এর স্বাধীনতা বিরোধী শত্রুরা হাজার বছরের বাঙালির সভ্যতা, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা ও অর্জিত লাল সবুজের পতাকাকে আঘাত হানতে ভিতরে থেকে চক্রান্তে লিপ্ত। এ ধারনায় সজাগ থেকে আজকের মহানন্দের দিনে ভাবনা- আবারও জেগে উঠতে হবে বাঙালিকে বীরদর্পে মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতা পক্ষের শক্তিকে, আভ্যন্তীরণ কোন্দল ভুলে, ব্যাক্তি স্বার্থ, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ছিন্ন করে প্রতিবাদে নয় প্রতিরোধে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর বাণী, “প্রতিবেশীদের প্রতি সম্প্রীতি বজায় রাখ” তাই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সাথে সম্প্রীতি রক্ষা করে। গণ মানুষই ইতিহাসের চালিকা শক্তি, তাই আবারও গণজোয়ারের প্রেক্ষাপট তৈরিতে স্বাধীনতার বিপক্ষ চেতনা লালন কারীদের পঙ্গু করতে, পরাভূত করতে স্বাধীনতার পক্ষে লালন কারী সর্বস্তরের মানুষদের জেগে ওঠার সময় দ্বারপ্রান্তে। আসুন সকলেই বিজয়ের দিনে শপথ গ্রহণ করি উদযাপনের উল্লাসে সকল কর্মসূচীতে। আজকের দিনের আলোয় আলোকিত হোক আমার স্বদেশ এবং ছাত্র যুব নতুন প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় জেগে উঠুক এ প্রত্যাশা।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হোক সকল মানুষের