সাভার,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ‘শ্রমিক অসন্তোষ’ থেকে বিরত থাকতে বিভিন্ন পোশাক কারখানা ও শিল্প শ্রমিক নেতাদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা জেলা পুলিশের আয়োজনে আশুলিয়ার বাইপাইলে একটি কমিউনিটি সেন্টার গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাংবাদিক সম্মেলনে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।
গত কয়েকদিন ধরে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০টি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে আসছে। পোশাক কারখানার এই উদ্ভূত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হঠাৎ করেই এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন মন্ত্রীরাসহ পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ।
এ সময় শাজাহান খান পোশাক শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘রাজনীতি করা সহজ, শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করা কঠিন। শেখ হাসিনার সরকারকে যারা উৎখাত করতে চায় তারাই পোশাক শিল্পে অসন্তোষের চেষ্টা করছে।’
শ্রম আইনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে নৌমন্ত্রী আরও বলেন, ধর্মের নামে যেমন জঙ্গি সৃষ্টি করেছে, তেমনি শ্রমিক অসন্তোষ করে কোনো কুচক্রিমহল ফয়দা নেয়ার চেষ্টা করছে।’
পোশাক শিল্পের বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিক নেতারা সাধারণ শ্রমিকদের কোনো বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে অসন্তোষ থেকে বিরত থাকার জোরালো আহবান জানান তিনি।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘জঙ্গিবাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে অচল করে দেয়া, সবার সহযোগিতায় সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসেছি। শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা আলোচনা করে সমাধান করা হবে। শ্রমিকদের জন্য সরকার সবসময় কাজ করছে। কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে তাদের চিহিৃত করা হবে। তারা কোনো সাহস যেন না করে, কারও লাল চোখকে আমরা ভয় পাইনা।’
এ সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা নেই, এমনকি শ্রমিক নেতারাও জানেন না। ফলে ষড়যন্ত্রকারীদের এই অসন্তোষ বলে জানান তিনি।
কারখানার সুযোগ সুবিধা বাদেই নতুন বছরের শুরুতে কোনো শ্রমিক মারা গেলে ইন্সুরেন্সের দুই লাখ টাকাসহ পাঁচ লাখ টাকা পাবেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় ও সন্তানের পড়ালেখার জন্য বিভিন্ন হারে আর্থিক সুবিধার ঘোষণা দেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সাংসদ ডা. এনামুর রহমান ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাফুজুল হক নরুজ্জামানসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। এছাড়া বিভিন্ন পোশাক কারখানার সাধারণ শ্রমিকরা ও শ্রমিক নেতারা।