নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির পেছনে গাফিলতি বা দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘তিনটি তদন্ত প্রতিবেদনেই একে মানুষ্যসৃষ্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যারা এ সমস্যার জন্য দায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এটি প্রধানমন্ত্রীর জীবন নাশের চেষ্টার শামিল। যা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন। প্রয়োজনে রাষ্ট্রদ্রোহ বা ষড়যন্ত্র বিষয়ক মামলা করা হবে। এ বিষয়ে কারা মামলা করবে তা নিশ্চত করেননি বিমানমন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কমিটি ২৫টির বেশি সুপারিশ করেছে। এর মধ্য বিমানের অভ্যন্তরীণ, ভিভিআইপি নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ওই তিনটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে বিমানটির অয়েল প্রেসারে সমস্যা ছিল এবং এর নাট-বল্টু ঢিলে অবস্থায় ছিল। এ সমস্যা মনুষ্যসৃষ্ট। এটি নাশকতা ছিল কি না তা তদন্তে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে।’
মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা করা হবে। যেহেতু শেখ হাসিনা কেবলই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিবারেরও সদস্য তাই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বিমানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘তিনটি তদন্ত প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ দ্রুত সময়ের মধ্যে এবং সুযোগমতো প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হবে। পরবর্তীতে তিনি যে পরামর্শ দেবেন সেই অনুযায়ীই করা হরা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আরও বড় কোনো তদন্তকমিটি করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দুই দফায় নয় জনকে সাময়িক বরখান্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে কারা কারা দোষী তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই সিদ্ধান্ত নেবে, তবে এখনই তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের পথে রওনা হওয়া বিমানের উড়োজাহাজটি ওড়ার চার ঘণ্টা পর আকস্মিকভাবে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করে।