রাজশাহী,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: জেলায় ১৮ শতাংশ শিশু গৃহকর্মী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। এছাড়াও গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুদের ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ শারীরিক ও ৫৭ শতাংশ মানসিক নির্যাতনের শিকার। আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবী, ত্রাণ ও উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ারের (লফস) আয়োজনে গোল টেবিল বৈঠক এ তথ্য জানানো হয়।
রবিবার (১৮ডিসেম্বর) নগরীর একটি কনফারেন্স রুমে এ গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন লফস’র সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান। গোল টৈবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, লফস’র নির্বাহী পরিচালক শাহনাজ পারভীন লাকী, সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক রুবিনা ইয়াসমিন, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, শ্রম ও কলকারখানা অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক কামরুল হাসান, ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রোগ্রাম অফিসার দেবাশীষ স্লান প্রমূখ।
গোল টেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী জজ কোর্টের আইনজীবি ও লফস’র আইন সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাহিনুল হক মুন। তিনি জানান, রাজশাহীতে ১৮০টি বাসার গৃহকর্মে নিয়োজিত ১৮০ জন শিশুর উপর তারা জরিপ চালায়। ওই শিশুদের দেয়া তথ্যে ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ শারীরিক ও ৫৭ শতাংশ মানসিক এবং ১৮ শতাংশ গৃহকাজে নিয়োজিত শিশু শ্রমিক যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।
শাহিনুল হক মুন আরও বলেন, শিশু শ্রমিকদের শতকরা ২০ জন হেটোলে, রেস্তোরা ৪০ জন, চা ষ্টল ৫০ জন, পরিবহন খাতের হিউম্যান হলারে শতকরা ৫০ জন, অটো বাইকে ১০ জন, আন্ত: জেলা বাসে ২৫ জন, রিকশায় শতকরা ৫ জন, ওয়ার্কসশপে শতকরা ৫০ জন, কারখানায় শতকরা ২০ জন ও ভাঙ্গারীর কাজে শতকরা ৬০ জন শিশু শ্রমিক রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেশের শিশুশ্রম ও শিশু শ্রমিকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে ৩৪ লাখ কর্মজীবী শিশু রয়েছে। যার মধ্যে ২৯ লাখ ৪৮ হাজার পূর্নকালীন ও ৫ লাখ ২ হাজার খন্ডকালীন কাজ করে। আগে বিদ্যালয়ে গেলেও এখন যায় না এমন শিশুর সংখ্যা ২১ লাখ।
এছাড়াও বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায় ৬২% শিশুশ্রম গ্রামীণ কৃষিতে প্রয়োগ হচ্ছে। ১ লাখ ৪৯ হাজার শিশু শ্রমিক নিকৃষ্ট ধরণের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এর মধ্যে ১.৪% ঝুকিপূর্ণ শিশুশ্রমে নিয়োজিত। এছাড়াও গ্রাম এবং শহরে ২৪,৬% শিশু দিনমজুর, ১৪% বিক্রয় কর্মী এবং ২৫.৪% পরিবহন খাতে নিয়োজিত রয়েছে।