স্পোর্টস ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: গল্পটা একটু ভিন্ন স্বাদের। সেদিন বাসায় ঝাড়বাতির পাশে থাকার কথা বড়সড় একটি কেক। তার উপর নিজের নাম লিখা থাকবে। সামনে মোম। চারপাশে কিছু বেলুন। জন্মদিনের দৃশ্যটা তো এমনই হওয়ার কথা। কিন্তু আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির ক্ষেত্রে হিসেবেটা একটু ভিন্ন।
তিনি রথও দেখবেন আবার কলাও বিক্রি করবেন। যেন এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান মেসি। না, মাঠে প্রতিপক্ষকে বোকা বানিয়ে এ কোনো গোল করার ছক কষা হচ্ছে না। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ইস্যু। বিয়ে করতে যাচ্ছেন মেসি। তবে সেই বিয়েটা হবে তার জন্মদিনের দিন।
শৈশবেই আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে মেসির অল্পস্বল্প ভাব বিনিময়। তার পর ইতিহাসের অমর নায়ক হওয়ার পথে ক্রমশই এগিয়ে যেতে থাকলেন মেসি। মাঝে ভুলেই গেলেন শৈশবের সেই বালিকাটিকে। তাদের মধ্যে যোগাযোগও খুব একটা ছিল না। এক সময় আবারও দেখা। একসঙ্গে থাকা। সংসার করা।
কিন্তু মেসি তো সহজে ছাড়ার পাত্র নন। সময়ের ব্যবধান যতোই হোক সম্পর্কের দূরত্ব যেন এতটুকু স্পর্শ করতে না পারে তার জন্য এবার শৈশবের সঙ্গী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন মেসি। আগামী বছর মেসির জন্মদিন ২৪ জুন বিয়ে করবেন তারা।
না, বিয়ের জন্য বিশাল কোনো প্রাসাদ, রাজকীয় হোটেল বা দ্বীপ নয়; যেখান থেকে সবকিছুর শুরু, সেখানেই ফিরে যাচ্ছেন দুজনে। বাঁধতে চলেছেন পবিত্র সম্পর্ক। নিজেদের সেই প্রথম পরিচয়ের রোজারিওতেই বিয়ে করবেন দুজনে।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে স্বদেশ ছেড়ে বার্সেলোনার পথে উড়াল দিয়েছিলেন মেসি। তার পর থেকে রোজারিওর সেই কন্যাটির খোঁজ খুব একটা রাখতে পারেননি বিশ্বনন্দিত হয়ে ওঠা মেসি। অবশ্য তাদের মন দেয়া-নেয়ার শুরুটা হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেটি পূর্ণতা পেয়েছিল দু’বছর পর, অর্থাৎ ২০১০ সালে। মেসির সঙ্গে থাকার জন্য রোকুজ্জো চলে আসেন বার্সেলোনায়। এরপর থেকেই দুজনে বাস করছেন একই ছাদের নীচে।
এদিকে মেসি-রোকুজ্জোর সংসারে ইতোমধ্যে কোল আলো করে এসেছে তাদের দুই সন্তান। চার বছরের থিয়াগো আর এক বছরের মাতেওকে নিয়ে এই প্রেমিকযুগল বেশ ফুরফুরেই আছেন। তবে মেসির কাছে মনে হচ্ছিল- এবার বোধহয় বিয়েটা করে ফেললেই ভালো হয়! তাই নিজের জন্মদিনেই কলা বিক্রির সিদ্ধান্ত তার।
ছাত্রজোটের পক্ষ থেকে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি দীপাঞ্জন সিদ্ধান্ত কাজল বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর ব্যায়ভার রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। বিভাগের উন্নয়নের টাকাও রাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে। আমরা আপাতত আমাদের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি। তবে যতদিন পর্যন্ত এই অবৈধ ফি নেয়া বন্ধ না হবে ততদিন আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান শ্রেণির ভর্তির সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি ছাড়াও বিভাগ উন্নয়ন ফি নেয়া হচ্ছে। যার পরিমাণ ছিল ৫-১০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে আন্দোলনের মুখে প্রশাসনের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা ঘোষণা করে। কিন্তু এই ফি কে অবৈধ দাবি করে তা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে গত ৫ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল প্রগতিশীল ছাত্রজোট। তারই অংশ হিসেবে রবিবার সকাল ৯টা থেকে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে তারা।