নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় বাঙালিরা এখন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা-বাণিজ্যের মালিক হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি শিল্পপতি বলতে তেমন কেউ ছিল না। তখন এ ভূ-খণ্ডে যেসব কল-কারখানা ছিল, তার প্রায় সবই ছিল পশ্চিম পাকিস্তানীদের মালিকানায়। এমনকি শিল্প কারখানার ব্যবস্থাপনায়ও বাঙালিদের কোনো অবস্থান ছিল না। বাঙালিরা ছিল শ্রমিক, বড়জোর করণিক। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় আজ বাঙালিরা কেউ ব্যবসায়ী, কেউ শিল্পপতি, ব্যাংকার, বীমা মালিক কিংবা আমলা হতে পেরেছেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর বিসিআইসি মিলনায়তনে শিল্প মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চেতনার আদলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে এগিয়ে নেওয়ার কারণে বার বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আল্লাহ্ তায়ালা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর একটি নির্দেশনায় গোটা নিরস্ত্র বাঙালি জাতি সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহস ও নেতৃত্বের দৃঢ়তার ফলে নয় মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। এরপর অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচিকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তখনই বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর অসৎ উদ্দেশ্যে তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।’
আমু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত ছয়টি সূচকে বাংলাদেশ প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে যত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে, তা আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘বিজয়ের ফল ব্যর্থ করে দিতে ধর্মের নামে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সহায়তায় বিএনপি ধারাবাহিকভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মত ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে এ অপচেষ্টা চলছে। বঙ্গবন্ধু যেমন খুনিদের সাথে কোনো ধরনের আপোষ করেননি, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আগুন সন্ত্রাসীদের সাথে কোনো আপোষ করবেন না।’
তিনি সংলাপের আহবানের আগে জাতির কাছে কৃত অপকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে পাপ মোচন করতে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি পরামর্শ দেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস, মোঃ দাবিরুল ইসলাম, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল।