নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: নয় দিন আগে রাজধানীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে হয় মামুনুর রশিদ ও মনিকা রহমানের।
বিয়ের পর বুধবার রাতে কক্সবাজারে মধুচন্দ্রিমায় যাচ্ছিলেন এ নবদম্পতি। কিন্তু পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন দুজনেই। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ২১ বছর বয়সি নববধূকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বামীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার ভোট ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পদুয়া এলাকায় বাস-ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন নিহতসহ আট ব্যক্তি আহত হন। নিহত অপর যাত্রীর নাম এখনো জানা যায়নি।
সকাল ১০টায় দুর্ঘটনায় আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মৃত ঘোষণার পর স্বজনরা মনিকার লাশ নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
পরে নিহত মনিকার পরিবারে যোগাযোগ করে তার পরিচয় বিস্তারিত জানা যায়। মনিকার ছোট বোন রুমা আক্তার জানান, মনিকা স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ২১ ডিসেম্বর বংশালের একটি কমিউনিটি সেন্টারে মামুনুর রশিদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বুধবার রাতে তারা শ্যামলি পরিবহনে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘সকালে আমরা খবর পাই কুমিল্লায় তাদের বাস দুর্ঘটনা হয়েছে। পরে আমরা সেখানে গিয়ে গুরুতর আহত আবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে আসি। সকাল ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিকাকে মৃত ঘোষণা করেন। মামুনুর রশিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’
রুমা আক্তার বলেন, ‘মামুনুর রশিদ ঢাকায় একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করেন। বংশাল থানার চানখারপুল লেনের ৫৭/২ নম্বর বাসার সাততলায় তারা থাকতেন। এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে তারা অবকাশে যাচ্ছিলেন।’