গাইবান্ধা,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে সুন্দরগঞ্জসহ বামনডাঙ্গা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা জামায়াত সমর্থক এক ব্যক্তির দু’টি ওষুধের দোকানে আগুন দেয়।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত লিটন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লিটনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সুন্দরগঞ্জে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। দলীয় নেতাকর্মীরা হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। উপজেলা সদরসহ তার গ্রামের বাড়ি শাহবাজ ও সংলগ্ন বামনডাঙ্গা এলাকায় দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উত্তেজিত নেতাকর্মীরা হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে স্লোগান দিয়ে মিছিল থেকে এবং জামায়াত সমর্থক আব্দুল গোফ্ফারের দুটি ওষুধের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলির খোসা পাওয়া গেছে। বিস্তারিত তদন্ত করে এ সম্পর্কে জানানো যাবে।’