নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : মাত্র কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) রাত ১২টা ৫২ মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে দেশের কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.১ বলে জানিয়েছে ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইএমএসসি। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের মাওলাইক এলাকার ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ৯৩.২ কিলোমিটার।
এর আগে মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) বিকেলে ৩টা ১০ মিনিটে প্রথমবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে সারাদেশ। রিকটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের স্থায়ীত্বকাল ছিল প্রায় ১০ সেকেন্ড। বিকেলে অনুভূত এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ১৭৬ কিলোমিটার দূরে ভারতের ত্রিপুরায়। ওই ভূমিকম্পে ত্রিপুরায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু এবং চারজন আহতের খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভূমিকম্পের সময় রাজধানীবাসীর সাধারণ মানুষদের ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে অনেককেই শিশু সন্তানদের কোলে নিয়ে নিজেদের বাসা ছেড়ে পথে নেমে আসতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে মে মাসে নেপালে বেশ কয়েকটি বড় মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে ৮ হাজারেরও বেশি লোকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। যার ধাক্কা এসে লাগে বাংলাদেশও। এতে বাংলাদেশে কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বহুতল ও পুরাতন ভবনে ফাটল দেখা দেয়; আতঙ্কে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে আসে।
এর পর থেকেই বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, বাংলাদেশ বেশ বড় মাত্রার ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদিও ২০১৫ সালেও কয়েক দফায় কম শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এই ব-দ্বীপ দেশটিতে।