
শিল্পী নাজমুলের টুথপিকের কাঠিতে তৈরী করা ১৭৪ টি স্মৃতি সৌধ ও শহীদ মিনার প্রদর্শনী পরিদর্শন করছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস, ইউএনও ইশরাত ফারজানা,পৌর মেয়র মো. জাকির হোসেন সহ অন্যান্য অতিথিরা।
অমর ডি কস্তা,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: যাঁদের জীবনের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা প্রকাশের ছোট্ট অংশ হিসেবে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরশহরের এক তরুণ টুথপিক ব্যবহার করে নির্মাণ করেছেন ১৭৪টি স্মৃতিসৌধ ও শহীদমিনারের প্রতিকৃতি। ছোট্ট ক্যানভাসে দেশপ্রেমের এই চিত্র প্রদর্শনী করা হয়েছে উপজেলার বনপাড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস এই প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বনপাড়া পৌরশহরের মুক্তিযোদ্ধা মো. মোসলেমউদ্দিনের ছেলে মো. নাজমুল ইসলাম (২৫) দেশের বিভিন্ন স্থানের ঐতিহ্যবাহী ৭২ টি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধ, ৯টি বুদ্ধিজীবি গণকবর , সাত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদের স্মৃৃতিস্তম্ভ সহ ৯৩টি ভাষা শহীদ মিনারের প্রতিকৃতি একই ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছেন।
প্রদর্শনীতে বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দেশের উল্লেখযোগ্য স্মৃতিসৌধ, গণকবর ও শহীদ মিনারের স্থাপনার প্রতিকৃতি এবং কোথায় এর অবস্থান সে সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সাংবাদিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দৃষ্টিনন্দন এই প্রদর্শনী দেখে মুগ্ধ হয়ে তরুণ ওই শিল্পীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রর্দশনী দেখে সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল ক্দ্দুুস তাঁর মন্তব্যে বলেন, এই প্রদর্শনী বাংলাদেশের সকল মহান বীর শহীদদের দেশপ্রেম কত গভীর ছিলো তা মনে করিয়ে দেয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত ফারজানা তাঁর মন্তব্যে জানান, এই প্রদর্শনী আমরা কীভাবে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ পেয়েছি তার বার্তা দেয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহরিয়ার খাঁন জানান, দৃশ্যপটটি একটি অসাধারণ চিন্তা থেকে তৈরী করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপজেলা কমান্ডার মো. শামসুল হক জানান, মুক্তিযোদ্ধা পিতার সন্তান হিসেবে নাজমুল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান তা স্পষ্টভাবে প্রদর্শনীতে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রদর্শনীর আয়োজক ও শিল্পী নাজমুল ইসলাম জানান, মুক্তিযোদ্ধা পিতার কাছ থেকেই দেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কথা জেনেছি। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা শহীদের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশের জন্যই সাধ্যমতো আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্ঠা। ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু করে এই শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই।