নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: টঙ্গীর তুরাগ নদীর কামারপাড়া থেকে তীর ভূমি পর্যন্ত গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে কিনা তা তদন্তে গাজীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চার নদীর মামলার জরিপ অনুযায়ী অবৈধ স্থাপনা সরানো হয়েছে কিনা তা প্রতিবেদন আকারে আগামী ০১ মার্চ আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ তদন্তকাজে সহযোগিতার জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, টঙ্গী ও তুরাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ০৯ নভেম্বর তুরাগ নদীতে মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণ কাজ বন্ধ এবং অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। ওই নির্দেশের আলোকে আজ বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনে দেখা যায় কিছু কিছু স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে বিআইডব্লিউ’র পক্ষে ছিলেন সৈয়দ মফিজুর রহমান।
এর আগে গত ০৬ নভেম্বর ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে ‘টাইম টু ডিক্লেয়ার টুরাগ ডেড’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যেখানে বিভিন্ন অংশে তুরাগ নদী ভরাটের মাধ্যমে স্থাপনা নির্মাণের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়।
ওই প্রতিবেদনকে সংযুক্ত করে গত ০৭ নভেম্বর পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ এর পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ একটি রিট দায়ের করেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে আজ আদালত এই আদেশ দেন।