সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা),বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের সাতদিন অতিবাহিত হলেও খুনের প্রকৃত মোটিভ উদঘাটনসহ খুনিদের গ্রেফতার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এমপি লিটন নিজ বাড়ির অতিথি কক্ষে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর থেকে হত্যার মোটিভ খুঁজে বের করতে বিভিন্ন গোয়েন্দাসহ পুলিশ মরিয়া হয়ে উগ্র-জঙ্গিবাদ, জামায়াত-শিবির কানেকশন জঙ্গিবাদ, দলীয় কোন্দল, জেলা পরিষদ নির্বাচন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব, ব্যবসায়িকসহ আর্থিক বিষয়ে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ করে প্রকৃত খুনি ও পরিকল্পনাকারীদের সনাক্ত করতে জোড় তালে কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা এসব বিষয় মাথায় নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের চিহ্নিত নেতা-কর্মীসহ দলীয় ও সহচরদেরও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব মাসুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায় বলে তার বড় ভাই গোলাম মতুর্জা টুকু দাবি করেন। তবে তার আটকের বিষয়টি এমপি হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অস্বীকার করেন। এমপি লিটন হত্যার পর থেকে আত্মগোপনে যাওয়া জামায়াত-শিবিরের প্রভাবশালী প্রথম সারির নেতা-কর্মীদের প্রতি তদন্তকারী সংস্থার তীক্ষ নজরদারি বেড়ে গেছে। যখন যাদের খুঁজে পাচ্ছেন হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদঘাটনের জন্য তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছেন। স্বজন ও দলীয় সহোচরদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।
থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতারের জন্য তত্পরতা অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই প্রকৃত খুনি হাতের নাগালে চলে আসবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘অনেক তথ্যই এখন আমাদের হাতে, অপেক্ষা করুন।’