এম এস জিলানী আখনজী,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: চুনারুঘাট উপজেলার একটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পড়াঝার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন যাবত অবহেলিত থাকলেও বিগত বছরের শুরু থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল ক্ষেত্রেই এসেছে গতি। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে যা চোখে পড়ার মত। বিদ্যালয় ভবন মেরামত, নতুন টিন লাগানো, রং করণ, টয়লেট ও টিউবওয়েল মেরামতসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত কাজ করা হয়। সবচেয়ে চোখে পড়ার মত বিষয় হল যে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের একান্ত প্রচেষ্টায় উক্ত এলাকার শিক্ষাবিদ ও দানশীল ব্যক্তি মোঃ আব্দুর রউফ ও তার সহধর্মিনী বিদ্যালয়ে ৭ শতক জমি দান করেন। জমিটি বিদ্যালয়ের সামনেই অবস্থিত। তাছাড়া বিগত কিছুদিন যাবত বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের আগমন ও প্রস্থান যথেষ্ট যথাযথ নিয়ম মেনে পালন করা হচ্ছে। যা এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিছুদিন পূর্বে শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক এস.এম.সি গঠনের উদ্যোগ নিলে শুরু হয় নোংরামী। এ নোংরামীর অংশ হিসেবে এলাকার ফুল মিয়া গং সহ গুটি কয়েকজন লোক বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম ও মিটিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও ইন্দন রয়েছে। গত রবিবার স্কুল ছুটির পর সহকারী শিক্ষক ছালে আহমেদ ও শিল্পী রানী দেব এলাকায় ঘুরে ঘুরে আগামীকাল ৩ জানুয়ারী ১৭ইং সোমবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরকে বিদ্যালয়ের মিটিং এ উপস্থিত থাকার দাওয়াত দেন। কিন্তু ঐ দিন বিদ্যালয়ে এস.এম.সি বা পি.টি.এ বা অন্য কোন কমিটির মিটিং ডাকা হয়নি। পরবর্তীতে ৩ জানুয়ারী সোমবার ষড়যন্ত্রকারীরা বিদ্যালয় থেকে ২০০ গজ দূরে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জোর পূর্বক আটকিয়ে মিটিং করতে চাইলে অভিভাবকগণ ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়ে অনেকেই চলে যান। এরূপ ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রমের ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিরাট ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। এতে করে চুনারুঘাটের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে এলাকায় প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এস.এম.সি সভাপতি, পি.টি.এ কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক (ভা.প্রা.) সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অতি দ্রুত দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন