নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: আট বছরে পা দিয়েছে বাসাবোর নাজিব। স্কুল থেকে ফিরে হররোজ তাকে ব্যস্ত দেখা যায় স্মার্টফোন, ট্যাবসহ আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খেলায়। কিছু প্রশ্ন করলেই হুটহাট গুগল অনুসন্ধান করে।
নাজিবের মতোই আজকের কিশোর যে কোনো কিছু দেখে যে বিস্মিত হবে অথবা কোনো কিছু নিজেই নাড়াচাড়া করে উদ্ভাবন করবে এই ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছে। তাদের মেধাগুলো যন্ত্র নির্ভর হয়ে পড়ছে। অজানাকে জানার কৈশরিক আগ্রহে ভাঁটা পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের স্বপ্নচারী করে তুলতে বাণিজ্য মেলায় মিলছে বাংলাদেশের প্রথম সায়েন্স কিট ‘অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স’। এই বাক্সে রয়েছে আলোর ঝলক, চুম্বকের চমক ও তড়িৎ তাণ্ডব। আলোর প্রতিফলন ও প্রতিসরণ নিয়ে ২৫টি পরীক্ষা করা যাবে আলো ঝলকের মাধ্যমে। চুম্বকের চমক দিয়ে করা যাবে ২৬টি পরীক্ষা এবং তড়িৎ তাণ্ডব দিয়ে করা যাবে ২০টি এক্সপেরিমেন্ট।
বাণিজ্য মেলার মেইন গেট পেড়িয়ে বাম দিকে তাকালেই চোখে পড়বে ছোটখাট একটা ল্যাব। স্টল নম্বর পিএ-৬৪। যেখানে উৎসুক চোখে শিশুরা মজার সব এক্সপেরিমেন্ট দেখছে। বিজ্ঞানের অবাক করা ব্যাপারগুলো হাতে-কলমে করতে তাদের মধ্যে সে যে কী আনন্দ।
মেলায় ছেলেকে নিয়ে আসা নাজিবের বাবা শাহীন হাসনাত জানালেন, সেখানকার বিজ্ঞান বাক্সে মিলছে একটি ম্যানুয়াল বই এবং ভিডিও টিউটোরিয়াল, যা থেকে জানা যায় সেই পেছনের কারণগুলোও। এ ছাড়াও আছে নিজ গ্রহ থেকে নির্বাসিত বেকুব রোবট ‘রোবেকুব’ ও বুদ্ধিমতি মেয়ে ‘অরণীর গল্প’। গল্পে গল্পে শেখা হয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞানের অজানা রহস্যগুলো।
প্রাইমারি, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রীরা বিজ্ঞানের যেসব তথ্য পড়ে থাকে সেগুলো যেন হাতে-কলমে শিখতে পারে সে জন্যই অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স বাজারে এনেছে অন্যরকম ইলেক্ট্রনিক্স- বলছিলেন অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান।
তিনি জানালেন, বিজ্ঞানবাক্স হলো বাংলাদেশের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র সায়েন্স কিট। এতে বিভিন্ন রকম উপকরণ থাকে, যা দিয়ে নানারকম সায়েন্টিফিক এক্সপেরিমেন্ট করা যায়।
মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, বিজ্ঞানবাক্স মূলত সাত বছর এবং তার বেশি বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য তৈরি। নানান রংয়ে আর বিজ্ঞানের ঢঙে একেবারে জাঁকজমকভাবে সাজানো হয়েছে অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সের এবারের স্টল। এ বছর বিজ্ঞানবাক্স যেমন মন ভরাবে, তেমনি ব্যাগ ভরাবে পুরস্কার! যারা বিজ্ঞানবাক্স কিনছে তাদের জন্য থাকছে কুপন। সেই কুপন থেকে লটারি করে তিনজনকে দেয়া হবে ল্যাপটপ, ট্যাব এবং স্মার্টফোন। এছাড়া বিজ্ঞানবাক্স সম্পর্কে রিভিউ লিখে একজন বিজয়ী জিতে নিতে পারবে একটি ফ্রিজ এবং ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার। আর প্রতিটি বিজ্ঞানবাক্সের সাথে ফ্রি গিফট ব্যাজ ও স্টিকার।
লিফলেটে দেয়া কুইজের সঠিক উত্তর দিতে পারলে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে তিনজন ভাগ্যবান বিজয়ীকে। তাদের জন্য পুরস্কার হিসেবে থাকছে ব্লু টুথ স্পিকার, পেন ড্রাইভ, পাওয়ার ব্যাংক, সেলফি স্টিক অথবা টেবিল ল্যাম্প। কুইজের সঠিক উত্তরটি পাঠাতে হবে অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সের ফেসবুক পেজের (https://www.facebook.com/OnnoRokomBigganBaksho) ইনবক্সে।