এ,আর কামাল শেখ,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: নারায়নগঞ্জ আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের জনসাধারনের স্বাস্থ্য সেবার এক মাত্র ভরসা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এখন পুলিশের দখলে। ঐ ইউনিয়নের প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।
জানা যায়, দুর্গম চর এলাকার উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি, ৭এপ্রিল ২০১৫ সালে ঢাকা রেঞ্জ ডি আইজি জনাব এসএম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান ও স্থানীয় এমপি জনাব নজরুল ইসলাম বাবু কালাপাহাড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র হিসাবে উদ্ধোধন করেন। এর পর থেকে প্রায় দুই বছর যাবৎ স্বাস্থ্য চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেনা ঐ ইউনিয়নের জনসাধারন।
এছাড়া স্বাস্থ্য কর্মী ও ডাক্তার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মরত ডাক্তার ও সহকারী ডাক্তারগণ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তল করে আসছেন এবং উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বরাদ্ধ কৃত ঔষধ দেওয়া হয় না বলে জানা যায়।
কদমি চরের কামাল হোসাইন বলেন, আমাদের এলাকায় এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এ মাত্র ভরসা ছিল ? এখন চিকিৎসার জন্য যেতে হয় উপজেলা সদরে, তিন মাইল পায়ে হেটে,যেতে হয় গুদারা ঘাট নৌকায় পার হইতে আধা ঘন্টা সময় লাগে। পরে অটোরিকসায় আরও এক ঘন্টার রাস্তা। হাসপাতালে যেতে যেতে সরকারী ডাক্তার পাই না। ফি চিকিৎসার বদলে, পরে টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাইতে হয়। প্রায় দুই বছর এভাবেই চিকিৎসা সেবা পেতে হয়,কালাপাহাড়িয়া বাসীর।
এ ব্যাপারে আলাপ হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি,এইচ,ও,এফ,পি শরিফ হোসেন খান বর্তমানকণ্ঠ ডটকমকে বলেন, পুলিশের তদন্ত কেন্দ্রটি উদ্ধোধনের সময় আমার আপত্তি থাকা স্বত্ত্বেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে ফাড়িঁ হিসাবে উদ্ধোধন করেন। আমি আমার সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পত্রের মাধ্যেমে অভিহিত করেছ ছিলাম।