নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমাকণ্ঠ ডটকম: নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুন মামলার রায় আগামীকাল সোমবার ঘোষণা করা হবে।
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার তদন্তকারী সংস্থা মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র্যাবের প্রাক্তন তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে গ্রেপ্তারকৃত ২৩ আসামির উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায়ের দিন ধার্য করে ১৬ জানুয়ারি।
নিহতদের স্বজন ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের প্রত্যাশা আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি হোক।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লা খান সাহেব স্টেডিয়ামসংলগ্ন লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া শান্তিনগর এলাকায় লাশ ভেসে উঠলে অপহৃত সাত জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে জনতা, সুশীল সমাজ ও আইনজীবীরা। তারা দফায় দফায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। এই ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলামী বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডটি এক সময় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশি গণমাধ্যমেও শিরোনাম হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ নূর হোসেনের পরিকল্পনায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে র্যাবের তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, লে. কমান্ডার এম.এম রানা ও মেজর আরিফের সম্পৃক্ততায় এ ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এই ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে র্যাবের প্রাক্তন তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একে একে ২৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
এই ঘটনায় তৎকালীন ডিসি-এসপিসহ দুই শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।