স্পোর্টস ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে এসেছে শতক। এটি তার ক্যারিয়ারে ১৫তম টেস্ট শতক। সঙ্গী রস টেলরও করেছেন অর্ধশতক। এই দুইজনের রানের দেয়াল ভাঙ্গতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাসকিন শুভাশিষদের।
২০২ রানের সময় শুভাশিষের বলে অফসাইডে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরেছেন তরুণ মিরাজ। বিদায় নিলেন টেলর। ততক্ষণে তার উইলো থেকে এসেছে ৭৭ বলে ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসটা যতটা দুর্দান্ত ছিলো দ্বিতীয় ইনিংসটা ঠিক ততটাই বিভীষিকার মতো ছিলো মুশফিক কিংবা ইমরুলদের জন্য।
পঞ্চম দিনে খেলতে নেমে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা। না পেরেছেন সাকিব, না পেরেছেন মুমিনুল। মুমনিুল যদিও ২৫ রান নিয়ে তুষ্ট থেকেছেন কিন্তু আগের ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান ফিরেছেন মাত্র শুণ্য রানে!
ওই ধাক্কা সামাল দিতে মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান ভালো প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু টিম সাউদির একটি শর্ট বল মাথায় লেগে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। ক্রিজে সময় পার করার ভালো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি ৫৩ বলে ১৩ রান করে।
সাব্বির রহমানের টানা হাফসেঞ্চুরি শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আশা জাগায়। কিন্তু টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারালে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ৯৭ বলে ৯ চারে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি করেন সাব্বির। কিন্তু আর ৪টি বল খেলে ইনিংস সেরা ৫০ রান করে বোল্টের বলে বিজে ওয়াটলিংয়ের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি। আগের ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বী ১ রানে সাউদির শিকার হন। এখানেই শেষ হতে পারত ইনিংস। কিন্তু চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও ক্রিজে নামেন ইমরুল কায়েস।
২৮ রানে আগের দিন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া ইমরুল ব্যক্তিগত রানের ঝুলিতে আরও ৮ রান যোগ করেন। ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অপর প্রান্তে শুভাশীষ রায় নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলে ৯ উইকেটেই শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। কারণ মুশফিকের আর নামা হয়নি। ২১৬ রানে লিড নেয় বাংলাদেশ।
ধকলটা শুরু হয়েছিলো চতুর্থ দিনের বাংলাদেশ ইনিংসের শুরু থেকেই। বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ৫৯৫ রানের টার্গেটে খেরতে নেমে কিউইরা করে ৫৩৯ রান। তবুও এগিয়ে থাকে টাইগাররা।
দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে তামিম-ইমরুল জুটি ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন। কিন্তু ১৪ ওভারের সময় রান নিতে গিয়ে উরুতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ইমরুল। তাকে নেয়া হয় হাসপাতালে। তারপর আর রূপকথা লিখা হলো না টাইগারদের।