মনিরুল ইসলাম,বর্তমানকন্ঠ ডটকম: নওগাঁর সাপাহারে এসএসসি পরীক্ষার আগ মূহুর্তে অর্ধমাস ব্যাপী সার্কাস লাগানোর জন্য তোড় জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু মহল।
জনজরিপে জানা গেছে, সামনে কোমলমতী ছাত্র ছাত্রীদের এসএসসি পরীক্ষার ঠিক আগ মূহুর্তে সার্কাস লাগানোতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে ছাত্র ছাত্রীরা। শুধু তাই নয় সার্কাস লাগলে আরও ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে অনেক ব্যবসা মহল, বলে জানান এলাকার কিছু ব্যবসায়ী। এছাড়াও চুরি, ছিনতাই সহ বাড়তে পারে বিভিন্ন ধরণের অসামাজিক কর্মকান্ড।
উল্লেখ্য যে, ২০১০ সালে সাপাহারে বিজয় মেলা সংঘটিত হওয়ার ফলে অনেক ক্ষয় ক্ষতি ও মেলায় আগত শিল্পীদের শ্লীলতা হানি সহ জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে একটি মার্ডারও সংগঠিত হয়েছিল। সে সময়কার ন্যাক্কার জনক ঘটনাকে সামনে রেখে আসন্ন সার্কাসের প্রতি বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকার সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে সাপাহার উপজেলা শাখা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহজাহান আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘সার্কাস লাগানোর পক্ষে আমি কোন পক্ষপাতিত্ব প্রদান করিনাই, এটা হাতে গোনা কয়েকজন সাংবাদিকের আওতায় হচ্ছে বলে আমি জানি’।
এ ব্যপারে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘সার্কাসের অনুমোদনের কোন কপি আমি এখনও পাইনি, তবে যদি সার্কাস লাগানোর পর কোন প্রকার আইন শৃংখলার অবনতি ঘটে তাহলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।
এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বিপিএম পিপিএম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘ কয়েকজন সাংবাদিক সাপাহার থেকে সার্কাসের অনুমোদনের জন্য ফোন করছে। কিন্তু আমি জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেছি, তবে কোন প্রকার অনুমোদন প্রদান করা হবেনা’।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ পারভেজ বসুনীয়া জানান, আমি এ ব্যপারে এখনও ঠিকমত কিছু বুঝে উঠতে পাচ্ছিনা। এখনও আমার কাছে কোন অনুমোদনের কপি আসেনি। যদি জেলা থেকে অনুমোদন দেয় তাহলে হয়তবা আমি জানাতে পারব।
সাপাহারে সার্কাস বা মেলা হলে ব্যবসা, শিক্ষা সহ আরও অন্যান্য ধরণের ক্ষয় ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।