সিলেট.বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: যাবজ্জীবন সাজার আসামির বদলে ‘প্রক্সিতে’ জেল খাটা রিপন আহমদ ভুট্টোর মুক্তির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রবিবার (২২ জানুয়ারি) স্বিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শনিবার (২১জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে কারাফটকে সাংবাদিকদের এমনটি জানিয়েছেন সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মনির উদ্দিন পাটোয়ারি।
তিনি জানান, তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ভুট্টোর বিষয়ে রবিবার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত ছিলেন তারা কেউ রক্ষা পাবেননা। আদালত চায় না কোন নিরপরাধ কারাগারে যাক। তাছাড়া একজনের বদলে অন্যজন সাজা ভোগ করবে এমন কোন সিস্টেমও নেই। তাছাড়া কেউ ইচ্ছা করলেও তা করতে পারবে না। এই ঘটনায় যারা প্ররোচনা দিয়েছেন তাদেরকেও রেহাই দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাস্তব ‘আয়নাবাজী’র নায়ক রিপন আহমদ ভুট্টো ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইকবাল হোসেন বকুল হয়ে আদালতে হাজিরা দিলে তাকে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছে। এক বছর ২ মাস পার হওয়ার পর তিনি কারাকর্তৃপক্ষকে আসল সত্যটা জানান। তিনি আসল বকুল নয়, তার নাম রিপন আহমদ ভুট্টো।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তার মুক্তির বিষয়ে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আব্দুল হান্নান ও যুগ্ম জেলা জজ মো. রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গত ৭ জানুয়ারি দুই সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। পরদিন ওই কমিটি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে ভুট্টোর জবানবন্দী নেয়। তাছাড়া সিলেটের সিনিয়র জেল সুপারসহ ৬ জনের জবানবন্দীও গ্রহণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সংবাদ কর্মী, পুলিশ এবং আইনজীবীদেরও বক্তব্য গ্রহণ করে তদন্ত কমিটি।
সর্বশেষ গত ১৫ জানুয়ারি ফের তদন্ত কমিটির সম্মুখে আসেন ভুট্টো। দুপুর ১টার দিকে তাকে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তদন্ত কমিটির কাছে জবানবন্দি দেন তিনি। পরে ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জেলা জজের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির সদস্যরা। এর ভিত্তিতে শনিবার জেলা ও দায়রা জজ জেল ভিজিটে যান। তখন তিনি ভুট্টোর সাথেও কথা বলেন।