নিজস্ব প্রতিবেতবদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে বিএনপি সার্চ কমিটি গঠনের জন্য তাদের দলীয় লোকের নাম প্রস্তাব করেছে।’
বিচারপতি কেএম হাসানের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তিনি বিএনপির দলীয় লোক। কেএম হাসান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় বিচারপতি আব্দুল আজিজকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে বিএনপি দলীয় ইসি গঠন করেছিলেন।’
রবিবার সকালে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসি গঠন নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইসি গঠন নিয়ে সরকারের কোনো ইচ্ছা নেই। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অভিভাবক। সার্চ কমিটিতে আওয়ামী লীগের কোনো সমর্থকের নাম থাকবে না।’
বিএনপির লোক বসালেই সেটা নিরপেক্ষ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির লোক দিয়ে ইসি গঠন না করে নিরপেক্ষ লোক দিয়ে তা গঠন করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শেখ সাইদুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি।
২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একে আজাদের পরিচালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারের হাতে আর মাত্র এক বছর ১০ মাস সময় রয়েছে। সরকারের জন্য উন্নয়ন আর অর্জনের কিছু বাকি নেই।’
সদ্য সমাপ্ত সুইজারল্যান্ডের দাভোসের সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দাভোসে ইনক্লুসিভ গ্রোথ অর্জনে ভারত, শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনসহ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
দেশ উন্নয়ন ও অর্জনে বিশ্বের বিস্ময় হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতবেই এ ধরনের মানসিকতা দলকে ডোবাবে। ভালোটা আশা করতে হবে। তবে মন্দটার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে।’
২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াতের হত্যা, সন্ত্রাস ও নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় কতজন নেতাকর্মী বাড়ি ঘরে থাকতে পেরেছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মুঞ্জুরুল ইমামদের মতো নেতাদের জীবন দিতে হয়েছে।’
বিএনপি-জামায়াতের সময় ২১ হাজার নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতা হারালে বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালের চেয়েও ভয়ঙ্কর মূর্তি নিয়ে আবির্ভূত হবে। তখন কেউ প্রাণে বাঁচতে পারবেন না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মূল জায়গা হচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল থেকে দলকে গড়ে তুলতে হবে। বড় নেতা হলে ছোট জায়গায় যাবনা ভাবলে নেতা বাড়বে, কিন্তু কর্মী কমবে।’
এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।