নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: দরিদ্র জনগোষ্ঠীরা কখনও করুণার পাত্র নয়। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে চিন্হিত করার মধ্য দিয়েই দেশ প্রকৃত পক্ষে এগিয়ে যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিষেজ্ঞরা।
তারা বলেন,‘হরিজন সম্প্রদায়কে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীকে উন্নত করার বিষয়টি আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে হবে’
রবিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সিড়ডাপ মিলনায়তনে নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত’ দলিত জনগোষ্ঠীর সচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক জাতীয় সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
সেমিনারে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করে দলিত জনগোষ্ঠীরা কখনও করুনার পাত্র নয়। তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যেমন, ডোমার, রবিদাস, জোলা রাশুয়া কামার, হেলা বেঁদে প্রভূতি সম্প্রদায়ের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
দলিত জনগোষ্ঠীর লোকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘চাকুরির ক্ষেত্রে আপনাদের বৈষম্যের কথা আমরা জানি। পাশাপাশি এ সমস্যা সহ-আপনাদের সকল সমস্যা সমাধানে এখন থেকে যৌথভাবে কাজ করবে নৌ পরিবহণ অধিদপ্তর এবং সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর।
সেমিনারে অংশ নিয়ে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান প্রা. বলেন, ‘বর্তমান সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু অতীতে যারা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে তারা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের কথা চিন্তাই করেননি।
তিনি বলেন, ‘১৬ কোটি মানুষের মুক্তির এক অনন্য নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি স্বপ্ন দেখেন আগামীর। কেবল মাত্র তিনি পারবেন পিছিয়ে পড়া দলিত জনগোষ্ঠীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে।
সাংসদ নাজমুল হক প্রধান বলেন,’ যে কোন মূল্যে দলিত জনগোষ্ঠীকে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আগামী দিনের বাজেটে দলিত দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেট বাড়াতে হবে।
সিলেট চা বাগান এলাকার দলিত সম্প্রদায়ের অন্তভূক্ত স্বপন সর্দার বলেন, নিজ দেশের হয়েও আমাদেরকে পরবাসী হয়ে থাকতে হয়। রাজনৈতিক থেকে শুরু করে সব দিক থেকে আমরা অবহেলিত।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আরডিসির) চেয়ারপারসন মেজবাহ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম খান, নাগরিক উদ্দ্যোগের প্রধান কর্মকর্তা জাকির হোসেন, বিডি আর এম এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট মনি রানী দাস, হরিজন ঐক্য পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারী নির্মল চন্দ্র দাস প্রমুখ।