রেজানুল হক রেজু,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: দিনাজপুর অঞ্চলে এক সময় ব্যাপক হারে দেখা যেতো শিমুল গাছ। এই শিমুল গাছের উৎপাদিত তুলা বেশ জনপ্রিয় ছিল। লেপ, তোষক, বালিশ সহ নানা প্রকার বেডিং নির্মানে শিমুল তুলার জুড়ি ছিলনা। ঋতু রাজ বসন্ত আগমনের সাথে সাথে ফাগুনের প্রথম দিকে বিশাল আকৃতির শিমুল গাছ গুলোতে ফুটন্ত লাল রংয়ের আগুন ঝরা ফুল আর চৈত্রের শেষ ভাগে ফুটন্ত তুলা বাতাসের সাথে উড়োউড়ি প্রকৃতিতে এক নব আমেজের সৃষ্টি করতো। আমার দেশের কবি সাহিত্যিকদের কাব্য ,প্রবন্ধ ,গল্প ও গান রচনায় শিমুল ফুল ছিল অন্যতম উপাদান। শুধু তাই নয়, চিকিৎসা কাজে এই গাছের শিকড় ,ছাল ও কচি পাতা ব্যবহার হতো প্রাচীন কাল থেকেই। তাছাড়া এই শিমুল গাছের কাঠ ছিল নির্মান কাজের অন্যতম উপাদান কিন্তু মানুষ বানিজ্যিক চিন্তা শুরু করার পর থেকেই বিলুপ্ত হতে থাকে শিমুল গাছ। এই গাছের কাঠের মূল্য বেশী না হওয়ায় মানুষ এই প্রাকৃতিক অপরুপ সৌন্দর্য্য গাছটিকে নির্মূল করতে মেতে উঠে। এর বদলে অন্য গাছ লাগাতে থাকে প্রাকৃতিক ভাবে গজিয়ে উঠলেও মানুষ তা বিনষ্ট করে ফেলে। অপরদিকে কেউ শিমুল গাছ রোপনও করেনা। তাই দিনাজপুর অঞ্চলে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে পরিবেশ বান্ধব ঔষধি গুন সম্পন্ন শিমুল গাছটি। জীব-বৈচিত্র সংরক্ষন প্রকল্পের আওতায় সরকারী ভাবে এ সব বিলুপ্ত প্রজাতির গাছ রোপন করা না হলে আগামী পাচঁ-সাত বছরের মধ্যে শিমুল গাছ সম্পূর্ন ভাবে হারিয়ে যাবে।