নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: দুর্যোগ পরবর্তী মৃতদেহের সৎকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনের এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ গাইড লাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসের চৌধুরী। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিধ্বস্ত রানা প্লাজা। ফাইল ছবি
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী দূর্যোগ পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি গাইডলাইন থাকার জরুরী প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এই উপলব্ধি থেকেই এ গাইড লাইন প্রকাশ করা হলো। এটি প্রকাশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের গাইডলাইন ও নির্দেশিকা, জাতিসংঘের গাইডলাইন ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির গাইডলাইন অনুসরণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক রেডক্রশ কমিটি এ গাইডলাইন প্রণয়নে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
মোফাজ্জল হোসের চৌধুরী মায়া বলেন, সরকারীভাবে এ গাইডলাইনে প্রস্তাবিত সব প্রস্তুতি গ্রহন করা হবে। এর মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কামরুল হাসান নির্দেশিকার উপর একটি বিশদ উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশে আইসিআরসির হেড অব ডেলিগেশন ইখতিয়ার আসলানভ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দুর্যোগে নিহত ব্যক্তির মর্যাদাপূর্ণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, মৃতদেহের পরিচয় উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া, সম্মানজনক ব্যবস্থাপনায় লাশের সৎকার ও মৃত ব্যক্তির পরিবারের দুর্ভোগ লাঘবে এ নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় মৃতদেহ উদ্ধার থেকে শুরু করে সৎকার, পরিবারের কাছে হস্তান্তর, ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরী ও সংরক্ষণ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাঠামো, মৃতদেহ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত আইন-কানুন, আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সমন্বয়ের পাশাপাশি মৃত ব্যক্তির যথাযথ ডাটাবেজ তৈরি ও ফরেনসিক রিপোর্ট সুষ্ঠভাবে সম্পন্নের জন্য নির্দেশনা রয়েছে।
ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগে যে কোন ব্যক্তির মৃত্যুই অনাকাঙ্খিত ও কষ্টদায়ক। তাই সে মৃতদেহের সম্মানজনক ব্যবস্থাপনায় সৎকার না হলে পরিবার পরিজনদের কাছে তা আরও বেদনাদায়ক হয়ে উঠে।
মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার নির্ধারন করার জন্যও মৃতদেহের সুষ্ঠু চিহ্নিতকরণ একান্ত আবশ্যক এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বড় ধরনের দুর্যোগে অনেক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। তাদের লাশের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে একটি আধুনিক ও সময় উপযোগী মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সরকারীভাবে এটি প্রণয়ন করা হয়েছে।