ক্রীড়া ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: অঘটনের রাতে প্রতিপক্ষের হাতে চরমভাবে পর্যদস্ত হয়েছে ফুটবল জায়ান্ট বার্সেলোনা।
রোববার রাতে নিজেদের মাঠে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের ৪-৩ গোলে হারিয়ে দেয় সেল্টা ভিগো।
আর এই হারের কারণে লিগে শীর্ষে ওঠার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে লুইস এনরিকের বার্সা।
এরআগে গত মৌসুমেও সেল্টার মাঠে ৪-১ গোলের হার হজম করতে হয় মেসি, নেইমার, সুয়ারেজদের। ওই মৌসুমে লিগে সেটাই ছিল চ্যাম্পিয়নদের সবচেয়ে বড় হার।
রাতের খেলায় সবচেয়ে বড় বিস্ময় হল আধা-ঘণ্টার মধ্যে বার্সার জালে সেল্টার ৩ গোল।
খেলার ২২তম মিনিটে শুরু হয় সেল্টা চমক। বার্সেলোনার রক্ষণে বোঝাপড়ার ঘাটতিতে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগানের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি সের্হিও বুসকেতস। আর এই ফাঁকে স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ইয়াগো আসপাস বলের দখল নিয়ে ডি-বক্সে বাড়ান।
সেই বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুরুহ কোণ থেকে বল জালে পাঠান পিয়োনে সিসতো।
ম্যাচের ৩০তম মিনিটে ফের আসপাস হামলা। প্রায় মাঝমাঠে বল পেয়ে ডি-বক্সের ঠিক মাথা থেকে দুর্দান্ত কোনাকুনি শটে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করেন তিনি।
৩৩তম মিনিটে সেল্টার আক্রমণে আবারও ভেঙে পড়ে বার্সার রক্ষণ। এবার ডি-বক্সে আসপাসের বাড়ানো বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজের জালেই বল জড়ান ফরাসি ডিফেন্ডার জেরেমি ম্যাথিউ।
১০ মিনিটে ৩ গোল হজম করে বেশ বেকায়দায় পড়ে যায় বার্সা। ২০০৭ সালের পর এমন অবস্থায় পড়লো লা লিগা চ্যাম্পিয়ন।
বিরতির পর মরিয়া বার্সা খেলোয়াড়রা ৫৮তম মিনিটে ব্যবধান কমায়। বদলি খেলোয়াড় আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান পিকে।
৬৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান আরও কমান নেইমার।
তবে বার্সার শেষ রক্ষা আর হয়নি। ৭৭তম মিনিটে চরম ভুল করে ফেলেন টের স্টেগেন। একটি ব্যাকপাস তেমন কোনো চাপ ছাড়াই বিপদমুক্ত করতে গিয়ে শট মারেন এগিয়ে আসা এর্নান্দেসের দিকে! বল তার মাথায় লেগে জালে ঢুকে যায়।
শেষ পর্যন্ত ৮৭তম মিনিটে দেনিস সুয়ারেজের ক্রসে ফের হেড করে কেবল গোল ব্যবধান কমান পিকে।
জয়ের দেখা তো দূরে থাক সমতাও পায়নি নেইমার-সুয়ারেজরা। ৪-৩ গোলের পরাজয় মেনে মাঠ ছাড়তে হয় এনরিক শিষ্যদের।
এই হারে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগের চতুর্থ স্থানে চলে গেছে বার্সেলোনা।
এদিকে ভ্যালেন্সিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষে রয়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। এইবারের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় সেভিয়া।