নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: জাপানের বাজারে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ বাড়াতে সেমিনার আয়োজন করেছে বেসিস জাপান ফোকাস গ্রুপ।
রবিবার সন্ধ্যায় বেসিস মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে বেসিসের সদস্যভুক্ত অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এই সেমিনারে অংশ নেন।
বেসিস জাপান ফোকাস গ্রুপের আহ্বায়ক আহমেদুল ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান ও বেসিসের সাবেক সভাপতি এ তৌহিদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসিসের সাবেক সভাপতি ও ডাটাসফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান।
সেমিনারে বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, জাপানের বাজারে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় সম্প্রসারণে বেসিস দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য যে চারটি দেশে বাংলাদেশের কার্যালয় স্থাপনের কথা বলেছেন জাপান তার মধ্যে একটি। জাইকা, জেট্রোসহ জাপানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করছে। তাই জাপানের বাজারে আমাদের সম্ভাবনা অসীম। ইন্টারনেট অব থিংকসহ (আইওটি) সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবায় আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়াতে পারলে আগামীতে জাপানের বাজারে বাংলাদেশের শীর্ষ অবস্থানে আসার সুযোগ রয়েছে। তাই এখনই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
বেসিসের সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান বলেন, জাপান বরাবরই আমাদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি জাপানের বাজারে ভালো করছে। জাপানের বাজারে টিকে থাকতে হলে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও একাগ্রতা থাকতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে বেসিস প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দিবে।
বেসিসের সাবেক সভাপতি এ তৌহিদ বলেন, জাপানের বাজার ধরার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। প্রয়োজন একটু উদ্যোগী ও সহযোগিতার। আশাকরি আমরা জাপানের বাজারে আমাদের ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারবো।
বেসিসের সাবেক সভাপতি ও ডাটাসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব জামান বলেন, বেসিস জাপান ফোকাস গ্রুপের মাধ্যমে ২০১৩ সাল থেকে জাপানে বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। উভয় দেশে একাধিক বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। নিয়মিতভাবে জাপান আইটি উইকে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। সফলতাও এসেছে। এখন বেসিসে একটি জাপান ডেস্ক তৈরি করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারে। জাপানে কার্যালয় স্থাপনের পাশাপাশি সেখানে বাংলাদেশ আইটি প্রফেশনালদের ডেটাব্যাংক প্রস্তুত করা প্রয়োজন। একই সাথে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি সক্ষমতা তুলে ধরতে হবে। একটু চেষ্টা করলেই ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতিবন্ধকতা দূর করা যায়।