এম এ রহিম,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: নামে আছে কামে নেই-নামেই তাল পুকুর ঘটি ডোবেনা- এমনি প্রবাদ বাক্যের সাথে তাল মিলছে দেশের বৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল। এখানে অনিয়ম দুর্নীতি দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা যেন নিয়মে পরিনত হয়ে গেছে। ধরা পড়েছে একাধিক ঘাপলা। সংঘবন্ধ ঘাপলাবাজ চক্রের সদস্যরা একের পর এক কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বন্দরে দুই যুগের ব্যাবধানে ছোট বড় ১০টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
১৯৯৬সালের অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছায় হয় ২শ কোটি টাকার মালামাল। এখন ক্ষতিপূরন পায়নি আমদানিকারকরা। এতে করে বেনাপোল বন্দর দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে। বন্দর ও কাষ্টম কর্মকর্তাদের অবহেলাকে দায়ী করছেন ব্যাবসায়িরা। ফলে কমে গেছে আমেদানি বানিজ্য। বিকল্প পথে পন্য আমদানি করছেন ব্যাবসায়িরা। সর্ব শেষ ২ আক্টোম্বর- রবিবার আাগুন লাগে ২৩নং শেডে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বন্দর থানাও।
আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। আশে পাশের মানুষ অনেকে ঘর ছেড়ে চলে যায়। ৯টি ফায়ার ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রনের আনার চেষ্টা করে। তবে টিন খুলা সম্ভব না হওয়ায় আগুন জলছে এখনও। গত ৩ দিনেও বন্দরে দেখা মেলেনি ২৩ নং শেডের দায়িত্বে থাকা ষ্টোর কিপারের। ঘটনার দিন তিনি বাসা বাড়ীতে ছিলেন বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
ইন্ড্রস্টিয়াল পন্য সহ হাজার হাজার কোটি টাকার আমদানিকৃত পন্য থাকে বেনাপোল বন্দর গোডাউনে। দুর্বল নিরাপত্তা ও বন্দর কাষ্টমসের দায়িক্ব কর্তব্যে অবহেলা সহ কতিপয় সদসের দুনীতের কারনে দুই যুগর ব্যাবধানে কয়েক দফা ভয়াবহ আগ্নি কান্ডের ঘটনাঘটে। পুড়ে ছায় হয়ে যায় মালামাল। তদন্তের নামে ধামা চাপা পড়ে যায় অনেক ঘটনা। নিরাস ও ক্ষতিগ্রস্ত হন ব্যাবসায়িরা। কোন ক্ষতিপূরন পায়নি আমদানিকারকরা।
তবে একার ক্ষতিপূরন পাবেন বলে আশা করেন সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ি ফজলুর রহমান। রবিবার সকালে বন্দরের ২৩ নং শেডে আগুন লাগলেও এখন নিয়ন্ত্রনে আসেনি বলে জানান ফায়ার ষ্টেশন ইনচার্জ কওসার আলী। শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ব্যাবসায়িরা-এঘটনায় ২দিনপর মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নৌ ও পরিবহন মন্ত্রনালয় স্থলবন্দর কতৃৃপক্ষের একটি দল।
বুধবার বিকালে ক্ষয়ক্ষতি সহ বিস্তারিত প্রেসকে জানাবেন বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান নৌ ও পরিবহন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব-সাফায়েত হোসেন। এসময় উপস্তিত ছিলেন-ল্যান্ডপোর্ট বাংলাদেশ যুগ্নন সচিব হাবিবুর রহমান, নৌ ও পরিবহন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব আব্দুর রউফ। যশোর জেলা প্রশাসকের পক্ষে শার্শা উপজেলা নির্বাহি অফিসার আব্দুস সালাম।
দীর্ঘ ৬২ঘন্টা পর দেশের সর্ববৃহত বেনাপোল স্থল বন্দরে ২৩ নং শেডে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রনে আসেনি। থেমে থেমে জলছে আগুন। ২টি দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করলেও টিন না সরানোর কারনে আগুন নিভছে না। রবিবার বিকালে বন্দর কর্তৃপক্ষ টিন সরানোর চেষ্টা করলেও ক্রেন ও লিবার সংকটের কারনে থেমে যায় কাজ। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ পন্যের হিসাব নিরপন করতে পারেনি তারা।
বন্দর ও কাষ্টমসের অব্যাবস্থাপনাকে দুষছেন ব্যাবসায়িরা।এদিকে বার বার বন্দরে আগুন লাগলেও ক্ষতি পূরন পায়নি আমদানিকারক ও ব্যাবসায়িরা ফলে হুমকির মুখে পড়ছে বন্দর- আতংকিত স্থানীয়রা। এমনটাই জানান ব্যাবসায়ি ও স্থানীয়রা।